BREAKING

Wednesday, March 25, 2015

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ সম্পর্কিত কিছু সতর্কবার্তা

বিয়ের আগে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকি আমরা, কিন্তু ভুলে যাই সব চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপার স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ সংক্রান্ত ব্যাপার টি, আসুন জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে  জরুরী কিছু তথ্যঃ

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার।  প্রধানত ব্লাড গ্রুপ কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে। তাহলে ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve.

জেনে নেয়া যাক, 
যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেওয়া হয় তাহলে কী হবে?
যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারনত কিছু হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরী হবে যার ফলে যদি কখনো রোগী আবার পজেটিভ ব্লাড নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এর কারনে অনেক সমস্যা হবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility.

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম হওয়া দরকার?
স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। এক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে তার স্বামীর ব্লাডগ্রুপ ও নেগেটিভ হতে হবে।

যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?
রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয় তাহলে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়।  যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারনত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হবে। যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus(ভ্রুন) তখন সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেধ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরী করবে। যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয়। তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেধ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন fetus এর শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সাথে agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙ্গে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh incompatibility” বলে।

একটি শিশু আগামী দিনের সুস্থ, বুদ্ধিদীপ্ত সুনাগরিক

আমাদের সমাজে  শিশুদের বেড়ে ওঠার পেছনে বাবা-মাসহ পরিবারের বড়দের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। যাদের সহযোগিতায় একটি শিশু আগামী দিনের সুস্থ, বুদ্ধিদীপ্ত সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

শৈশব হচ্ছে অবারিত আনন্দে বেড়ে ওঠার সময়। এ সময় শিশুরা সাধারণত বড় হয় বাবা-মায়ের সান্নিধ্যে, বেড়ে ওঠে দুজনার আদর-স্নেহ ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে। প্রতিটি শিশুর কাছেই রয়েছে বাবা-মায়ের সমান গুরুত্ব। শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশে বাবা-মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কার্যকর সহযোগিতা ছাড়া শিশুর সুষ্ঠু প্রারম্ভিক বিকাশ সম্ভব নয়।

মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়ার পর থেকেই শিশুরা দ্রুত শিখতে শুরু করে। যখন একটি শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি যথাযথ স্বাস্থ্য পরিচর্যার পাশাপাশি আদর মনোযোগ আর শেখার উদ্দীপনা পায় তখন সে আরো তাড়াতাড়ি শেখে। দেখে, শুনে, ছুঁয়ে, গন্ধ নিয়ে এবং স্বাদ নিয়ে শিশুরা তার চারপাশের পৃথিবীকে আবিষ্কার করে চলে। শিশুর জন্মের মুহূর্ত থেকেই এসব ইন্দ্রিয় কাজ করতে থাকে।
শিশুরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সুস্থ, সবল, উৎসাহী, আগ্রহী এবং পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন কাজ করার জন্য দক্ষ হয়ে উঠতে যে প্রস্তুতির প্রয়োজন, তা শিশুর জীবনের প্রথম আট বছর বয়সের মধ্যে প্রধানত হয়ে থাকে। জীবনের প্রথম আট বছর শিশুর জন্য সংকটপূর্ণভাবে গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে প্রথম তিন বছর। এই সময়েই শিশুর ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি এবং বিকাশের ভিত্তি রচিত হয়। এ সময়কালে শিশুরা অন্য যেকোােন সময়ের তুলনায় অনেক দ্রুত শেখে।

ছোট্ট শিশুরা যদি স্নেহ-ভালোবাসা, মনোযোগ, উৎসাহ ও মানসিক উদ্দীপনা পায় এবং সেই সাথে পুষ্টিকর খাবার যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা লাভ করে তাহলে শিশুদের বিকাশ সঠিক দ্রুত হয় এবং তারা বেশি তাড়াতাড়ি শিখতে পারে। প্রথম বছরগুলোর যতœ ও স্নেহ-মমতা শিশুকে প্রফুল্ল করে তোলে। শিশুকে ধরলে, আদর-সোহাগ করে বুকে বা কোলে নিয়ে তার সঙ্গে কথা বললে শিশুর বেড়ে ওঠার উদ্দীপনা পায় এবং তার আবেগ অনুভূতির দ্রুত বিকাশ ঘটে। শিশু মায়ের শরীরের স্পর্শ পেলে এবং চাওয়া মাত্রই শিশুকে বুকের দুধ দিলে শিশুর ভেতরে নিরাপত্তা বোধ জন্মে। পুষ্টির চাহিদা মেটানো ও আরাম বোধ উভয় কারণেই শিশুর স্তন্য পান প্রয়োজন।

শিশুদের সঙ্গে কথা বললে, তাদেরকে স্পর্শ করলে, আদর-সোহাগ করে জড়িয়ে ধরলে তাদের মানসিক বিকাশ দ্রুত ঘটে। পরিচিত মুখ দেখলে, পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনলে এবং বিভিন্ন বস্তু নাড়াচাড়া করলেও তাদের দ্রুত মানসিক বিকাশ ঘটে। জন্মের পর থেকে ভালোবাসা পেলে ও নিরাপত্তা অনুভব করলে, বেশি খেলাধুলা করলে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা ও ভাব বিনিময় হলে তারা দ্রুত শিখতে পারে। শিশুরা নতুন নতুন খেলনা দিয়ে খেলতে ভীষণ পছন্দ করে।

শিখতে, খেলতে ও তার চারপাশ চিনে নিতে উৎসাহ দিলে শিশু শেখে এবং তার মানসিক, সামাজিক, অনুভূতিগত, শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটে। খেলাধুলা শিশুদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে এবং তাদের কৌতূহলী ও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। খেলার মধ্য দিয়ে শিশুর ভাষা, চিন্তা, পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা বিকশিত হয়।

অনেক পরিবারেই মেয়ে শিশুর প্রতি পরিবারের সদস্যদের কম মনোযোগ ও কম যতœ-বৈষম্যের সৃষ্টি করে। কিন্তু মেয়ে শিশু ও ছেলে শিশুর মধ্যে দৈহিক, মানসিক ও আবেগ অনুভূতিগত প্রয়োজনে কোনো পার্থক্য নেই। ছেলে শিশুর মতো মেয়ে শিশুরও একই রকম খাদ্য, মনোযোগ, স্নেহ ও যতœ দরকার। তাই মেয়ে শিশুর প্রতি কোনো বৈষম্য করা যাবে না। কারণ উপযুক্ত খাবার, সেবাযতœ ও স্নেহ-মমতা পেলে মেয়ে শিশুটিও যেকোনো ছেলে শিশুর মতো ভালো কিছু করতে বা হতে পারবে।

ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজার

রোদে পোড়া ত্বকের জন্য তিলের তেল খুবই উপকারি ময়শ্চারাইজার। তিলের তেল ন্যাচারাল সান ব কার। সাধারণত শুষ্ক ত্বকে বলিরেখা পড়ে। সেই কারণে এই ত্বকের বিশেষ প্রয়োজন। ঘি ও আমন্ড অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে বলিরেখার উপর মাসাজ করুন প্রতিদিন আধঘন্টা। তারপর আমন্ড বাটা, আমলাবাটা, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে বলিরেখার উপর লাগিয়ে আধঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের টানটান ভাব নষ্ট হয়ে গেলে হালকা হাতে আমন্ড অয়েল দিয়ে আপ লিফটিং পদ্ধতিতে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। মুখ মুছে ডিমের সাদা অংশ, মুলতানি মাটি, আঙ্গুর একসঙ্গে মিশিয়ে এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন ২৫ মিনিট। তারপর মুখ ধুয়ে শসার রস ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান।

ময়শ্চারাইজার মাস্ক
০ ২ চামচ দুধের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখ ও গলায় ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
০ ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ ভেজিটেবল অয়েল ও ১ টেবিল চামচ নারিকেলে তেলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ ক্রাশড স্ট্রবেরি মিশিয়ে নিন। সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই অয়েল মেশান, গলায় ও মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন।
০ গি সারিন, গোলাপজল, লেবুর রস সমপরিমাণে নিয়ে মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। গরমে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভাল ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজে দিবে। 
ময়শ্চারাইজিং এর প্রয়োজনীয়তা
০ ময়শ্চার ত্বকে পানি ও তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
০ আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের ফলে ত্বকের ময়শ্চার নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত্বকের যতেœ ময়শ্চার খুবই জ রুরি।
০ ওয়াটার ইন অয়েল ময়শ্চারাইজার সাধারণত অয়েলবেসড হয়। এই ধরনের ময়শ্চারাইজার ত্বকের ময়শ্চারাইজার ধরে রাখে। ০ অয়েল ইন ওয়াটার ময়শ্চারাইজার সাধারণত গি সারিনের কাজ করে। এই ময়শ্চার ত্বকের গভীরে ঢুকে ময়শ্চার ধরে রাখে।


ঘরে তৈরি ময়শ্চারাইজার
০ স্বাভাবিক ত্বকে মধু, লেবুর রস, দই মিশিয়ে লাগান। ত্বকের উজ্জ্বল ও মসৃণভাব বজায় থাকবে।
০ তৈলাক্ত ত্বকে আপেল কোরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
০ শুষ্ক ত্বকে অলিভ অয়েল, লেবুর রস ও ডিম মিশিয়ে ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ঘরে বসেই ফেসিয়াল

যারা পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করেন তারাও সপ্তাহে একদিন ঘরে বসে নিজেই করতে পারেন ফেসিয়াল। জেনে নিন যেভাবে করবেন ফেসিয়াল :
ফেসিয়াল করতে হয় কয়েকটি ধাপে ধাপে। ফেসিয়াল করার শুরুতে মুখটা পরিষ্কার করে নিন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটা ভেজা নরম তোয়ালে রুমাল দিয়ে মুখটা মুছে ফেলুন। এরপর যে কোনও হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মুখটা ৫/৬ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার নিয়ম হচ্ছে উভয় হাতের চার আঙুলের সাহায্যে নিচ থেকে উপরের দিকে। কপাল, থুতনি ও ঠোঁটের উপরে করতে হয় দুই আঙুলের সাহায্যে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে নিন। এত গেল প্রথম ধাপ। এবার আসুন দ্বিতীয় ধাপে। মুখটা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হলে মুখে গরম পানির ভাপ নিতে হবে। ভাপ নেয়া সম্ভব না হলে হালকা গরম পানিতে রুমাল ভিজিয়ে চেপে চেপে মুখ পরিষ্কার করুন। এতে লোমকূপের গোড়া থেকে ময়লা বের হয়ে আসে। এবার ম্যাসাজ ক্রিমের সঙ্গে অল্প একটি স্ক্যাব মিশিয়ে নাকের দুই পাশে এবং যেসব জায়গায় মরা কোষ আছে সেখানে ম্যাসাজ করুন। স্ক্যাব না থাকলে সুজি একটু টেলে নিলেও হবে। এরপর মুখটা মুছে নিয়ে লাগান আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্যাক। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন চন্দনের প্যাক। তবে উপটান প্যাক হিসেবে ব্যবহার না করাই ভালো। বরং উপটান দিয়ে ম্যাসাজ করে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন। বসন্তে দীর্ঘ সময় উপটান লাগিয়ে রাখলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকে রোদে পোড়া দাগ হলে পাকা টমেটোর রস লাগান। পাকা টমেটো প্রাকৃতিক বিচের কাজ করে। এছাড়াও পাকা কলা, পেঁপে চটকে সারামুখে ও গলায় লাগান। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। মুখ পরিষ্কার করার পর মুখ না মুছে এক টুকরো তুলোয় টোনার নিয়ে সারামুখে ও ঘাড়ে লাগান। বাজারে কেনা টোনার না থাকলে শসার রস বা আলুর রস টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে চোখের চারপাশে টোনার লাগাবেন না। সব শেষে মুখে লাগান ময়েশ্চারাইজার। মুখটা একটু ভেজা থাকতেই দু’হাতে ময়েশ্চারাইজার লোশন নিয়ে আলতো হাতে লাগান। মুখের যেসব জায়গা বেশি শুষ্ক সে জায়গাগুলোতে দু’বার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এতে দীর্ঘ সময় ত্বক আর্দ্র থাকবে। বাড়িতে বসে ফেসিয়াল করতে কেমিক্যাল জাতীয় তেমন কিছু ব্যবহার করা হয় না বলে এটা ঘন ঘন করলেও তেমন কোনও সমস্যা নেই।
 
লক্ষ করুণ :
* নিজে ফেসিয়াল করার সময় বেশি সময় ম্যাসাজ না করবেন না। কারণ সঠিক পদ্ধতিতে ম্যাসাজ না করতে পারলে ত্বকের চামড়া ঝুলে যেতে পারে।
* মুখে কাচা ব্রণ থাকলে ফেসিয়াল না করাই ভালো। আর কাঁচা ব্রণ খুঁটবেন না। এতে দাগ হয়।
* ম্যাসাজ করার নিয়ম হচ্ছে উভয় হাতের চার আঙুলের সাহায্যে নিচ থেকে উপরের দিকে। কপাল, থুতনি ও ঠোঁটের উপরে করতে হয় দুই আঙুলের সাহায্যে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে নিন।
 
Copyright © 2013 Best womens tips
Design by FBTemplates | BTT